কভিড-১৯ পরবর্তী কর্ম সৃজনই মূল উপজীব্য হোক

in BDCommunity4 years ago

করোনা পূর্ব পৃথিবীতে দিন দিন বেকারের সংখ্যা বাড়তেছে জ্যামেতিক হারে। বেকারত্বের অভিশাপে আত্মহত্যা করছে ইতোমধ্যে এক গার্মেন্টস শ্রমিক। যার সংখ্যা হয়তো দিনে দিনে বাড়তে থাকবে।

মানুষের আয় কমে গেছে শতকরা ৪০ ভাগ এর প্রভাব ইতিমধ্যেই আমরা লক্ষ্য করছে স্রোতের মতো মধ্যভিত্যের ঢাকা ছাড়ার ছবি দেখে। প্রতি গলির মুখে ঝুলছে মি. টু-লেট। এখন ঢাকা শহর মনে হচ্ছে সব টু-লেট সাহেবের বাড়ি!

বিআইডিএস এর ধারনা করোনার প্রভাবে ইতোমধ্যে দারিদ্র্যের হার শতকরা ৯ ভাগ বেড়ে ২৯ ভাগে পৌঁছেছে। পাশাপাশি কোভিডের সময়ে শহরের শ্রমিকের আয় কমেছে ৮০ শতাংশ এবং গ্রামীণ শ্রমিকের আয় কমেছে ১০ বলে বিআইডিএস এর সাম্প্রতিক রিপোর্টে প্রকাশ পায়।

বিশ্বের বড় বড় অর্থনীতির দেশ সবাই করোনার প্রকোপ থেকে বাঁচতে বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নিচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারও বিভিন্ন কর্ম পরিকল্পনা সাজিয়ে এগুতে চাচ্ছে সামনের দিকে। সে সাথে সরকার বিভিন্ন রকমের প্রণোদনা ঘোষণা করছে।

বিশ্বব্যাপী এখন অর্থনীতিবিদ ও করপোরেটের সিইওরা (প্রধান নির্বাহী) অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের রূপ নিয়ে আলোচনা করছেন। কেউ বলছেন পুনরুদ্ধার ইংরেজি ‘ভি’ আকৃতির হবে, কেউ বলছেন ‘ডব্লিউ’ আকৃতির হবে। কারও মতে সেটা হবে ‘এল’ আকৃতির অথবা ‘ইউ’ আকৃতির।

"ভি" আকৃতির হলো দ্রুত পতনের পর দ্রুত উত্থান এবং বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুতই উত্থান করতে পারবে যদি নতুন নতুন কর্ম সংস্থানের ক্ষেত্র তৈরি করা।

অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করতে হলে কর্ম সৃজন অর্থাৎ কর্ম সংস্থানের দিকে নজর দিতে হবে সবার আগে। এখন প্রশ্ন হলো করোনার ফলেতো অনেক শিল্প সংকোচিত হয়ে গেছে তাহলে নতুন কর্ম সংস্থান কীভাবে হবে হবে?

প্রতিটা দুর্যোগ নতুন নতুন ক্ষেত্র নতুন নতুন সম্ভাবনা ও তৈরি করে এখন সময় এসেছে আমাদেরকে নতুন সম্ভাবনা গুলোর সদ্ব্যবহার করার। কৃষি খাতে কর্ম সংস্থানের ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের ভালো চাহিদা তৈরি হচ্ছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে মাথায় রেখে কর্ম পরিকল্পনা করা। আউট সোর্সিং শিল্প ঘোষণা করে আরো ব্যাপক ভিত্তিক কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করা।

ঔষধ শিল্পকে বিকশিত করা। আর এন্ড ডি কে শক্তিশালী করা। বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার পরিধি বাড়ানো। শিল্প এবং কৃষির মেলবন্ধনের মাধ্যমেই সম্ভব অধিক মাত্রায় কর্ম সম্পাদন করা।
Photo From:Pixabayes0izr.jpg

Sort:  

সামনে কি অবস্থা তৈরি হকবে, আমরা কেউ বুঝতে পারছি না হয়তো। তবে অর্থনীতিতে যে মারাত্মক ধ্বস নামহে, এই আশংকা তো আছেই।

আমরা আমাদের দক্ষতা বাড়াতে পারলে নতুন কর্ম সৃজন সম্ভব এবং অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও সম্ভব

সরকারের পাশাপাশি আমাদেরকেও সজাগ থাকতে হবে নতুন কর্ম পরিকল্পনা করে আগাতে থাকলে আমরা সফল হবো ইনশ আল্লাহ। আর আমাদেরকে ব্যয় ও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে

আমাদের জনশক্তি আছে। দক্ষতা বাড়াতে হবে, অলস সময় নস্ট না করে যে যা করতে পারে আন্তরিকতার সাথে করে যাওয়া উচিত। কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে যদি আমরা ব্যার্থ হই তবে, জনসংখার চাপ বাড়বে ও এতে করে সমাজে অন্যায় বাড়বে

দক্ষতাই শক্তি, সরকার দক্ষতা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন ইনস্টিটিউট খুলছে।এখন আমাদেরকে উদ্যোগ নিতে হবে। আর চোখ কান খোলা রেখে চললেই হবে

ই-কমার্স ক্ষেএে অনেক চাহিদা তৈরি হবে।
আমাদের উচিত দেশি পন্য ব্যবহার করা, স্বাস্থ্য ক্ষাতে নজর দেয়া

ই-কমার্স একটা খাত সাথে এটা লজিস্টিক সাপোর্ট হিসেবে করতে
সাপ্লাই চেইন ঠিক রাখতে পারলে আমাদের কৃষি ও অনেক দূর এগিয়ে যাবে। স্বাস্থ্য খাত খুবই মূল্যবান একটা খাত আমাদের সবারই উচিত এদিকে নজর দেয়া