চুরি

in BDCommunity3 years ago

যখন নিচের ঘন্টাটি উন্মুক্ত রেখেই ঘুরে বেরাতো। পুটু ধরে টানাটানি হেচড়া হেচড়ি করতো। সেই সময়টা ছিল সেরা। ছোট্ট সময়ের সেই ছোট্ট ছোট্ট চাওয়া গুলো ছিল অসাধারণ। ছোট্ট ছোট্ট দুষ্টামি মারামারি গুলোও ছিল সোর্নালী সময়। তারপর ধীরে ধীরে হাফ প্যান্টের জগৎ ভেদ করে ফুল পেন্টের ভিতর ছোট্ট কাপড় পরার সাথে সাথে জীবনের যে পরিবর্তন শুরু হয় তাতেই প্রেম নামক বস্তুর সাথে পরিচয় হয়। দূর সম্পর্কের চাচাতো বোনের সাথে প্রেম। ভালোই চলছিল। ক্লাস ফাঁকি দিয়ে চুটিয়ে প্রেম। প্রাইভেট স্যারের বাড়ির পাশে আড্ডা জমানো। স্যারের রুম থেকে বার হতেই পিছু ধরা। সব কিছুই ভালোই চলছিল। এক রাতে ওয়াল টপকিয়ে বাসার ভিতরে ঢুকতে গিয়েই খেলো ধরা। বার হওয়ার সময় হলেও একটা কথা ছিল। অবশেষে রাম ধলাই খেয়ে বাপের হাতে শপর্দ করতে আরেক দফা রাম ধলাইয়ে সব প্রেম মহব্বতের ইতি টেনেছে রিপন।

গ্রামের আশেপাশে ফল গাছ থাকলে রিপন গ্রুপের নজরে পরলে এক রাতেই কাম তামাম। দূর সম্পর্কের চাচার ডাব গাছ নজরে পরেছে। রাতেই হানা দিবে সবাই। সব প্রস্ততি সম্পন্ন করে রাতে বাগানে উপস্থিত সবাই। এখন গাছে কে উঠবে? রিপন উঠবে, রিপনের পুরোনো হিসেব নিকেশ আছে। প্রেম তো বিসর্জন দিয়েছেই কিন্তু রাম ধোলাইয়ের প্রতিশোধ তো নিতেই হবে।

রিপন লুঙ্গি মালকাছ বাধে শো শো করে উপরে উঠে গেলো। ওমনি জরিনার বাপ চিৎকার করে উঠলো বাগানে কে রে? জরিনার বাপের আওয়াজ শুনতেই নিচের সবাই নিমেষেই গায়েব। যদিও বা কথা ছিল কি হয় হোক কেউ পালাবে না সবাই এক সাথে থাকবে। রিপন উপর থেকে দিশেহারা হয়ে ভাবছিল কেউ কথা রাখে নিই। রিপন গাছের একেবারে উপরে চুপ করে বসে ছিল। পাক্কা দু ঘন্টা উপরে থাকার পর যখন পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যায় জরিনার বাপের বাসায় চলে যায় তখন সে ধীরে ধীরে নামে। পাক্কা তিনদিন বন্ধুদের সাথে কথা বলে নিই রিপন।

কয়েকদিন ধরে রিপনদের তাল গাছে কে যেন তাল চুরি করছে। রিপনের মা রিপনকে চোরের প্রতি ক্ষোভ রিপনের উপরেই দেখায় দেয়। তাই আজ রাতে রিপন পুকুরের পারে তাল গাছ পাহাড়া দিচ্ছে। রাত বারোটা বাজতেই কে যেন সামনের দিকে আসছে। সামনে আসতেই দেখে আরে এতো রফিক ভাই। এদিক সেদিক তাকিয়ে গাছে চরে কয়েকটি তাল পেরে ধমাধর পুকুরে ফেলে দিল। তারপর নিচে নেমেই লুঙ্গি খুলে সম্পূর্ণ উলঙ্গ হয়ে পুকুরের পারে রেখে পানিতে নেমে গেলো। হালকা হালকা দিখন্ডিত নিতম্ব আর ঘন্টাটি ঝুলতে দেখে রিপন দাঁত দিয়ে জিহ্বা চেপে ধরে অনেক কষ্ট করে হাসিটা থামালো। একবার তো মুখ দিয়ে খিক করে হাসির শব্দ বার হয়েই গিয়েছিল। পানিতে নামতেই রিপন তার লুঙ্গি আর গেঞ্জি সাথে নিয়েই পগার পার। রিপন কি আর এই সুযোগ ছাড়ে।

রফিক ভাই কেমনে বাসায় গিয়েছিল সেটা কেই বা জানে। ঘন্টা ঝুলিয়ে বল দুটো ঢুলিয়ে সামনে পিছনে দুটো তালকে ঢাল বানিয়ে হয়তো চুপিসারে বাসা পর্যন্ত গিয়েছে। কিন্তু সখিনা ভাবীরে যে কি জবাব দিয়েছে আল্লাহ্ মালুম।

পরের দন রাস্তায় রফিক ভাইকে দেখে রিপন চিল্লায়া কয় রফিক ভাই কি অবস্থা সব ঠিকঠাক? বলেই হো হো করে হেসে উঠলেন রিপন। আর রফিক ভাই মাথা নিচু করে হন হন করে হেঁটে চলে গেল।

images (8).jpeg

Source