সিংহশাবক কোলে চোখ বুজে আছে। মাঝেমধ্যে লাফিয়ে কাঁধেও চড়ে বসছে। ক্ষুধা লাগামাত্র চিতাশাবকেরা উচ্চ শব্দে তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। ভয়ংকর সব প্রাণীর সঙ্গে এমনই সম্পর্ক মিন্টুর।
গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কেবাঘ ও সিংহের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে আছেন মিন্টু। এই নামে পরিচিত হলেও তাঁর পুরো নাম নুরুন্নবী মিন্টু। টগবগে তরুণ। এখানে বাঘ ও সিংহের দেখভালের দায়িত্বে তিনি। তাঁর সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন আরও কয়েকজন। ২০০৫ সালে দেশে প্রথম প্রতিষ্ঠিত চট্টগ্রামের ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে মেডিকেল ডিপার্টমেন্টে ড্রেজার (ক্ষত স্থানে শুশ্রূষা দেওয়া) পদে চাকরি করতেন তিনি। সেখানে পশুপাখির চিকিৎসক মালেকের সঙ্গে কাজ করতেন মিন্টু। ওই পার্কে থাকতেই বিভিন্ন প্রাণীর সঙ্গে তাঁর সখ্য হয়। ২০০৭ সালের দিকে বেনাপোল স্থলবন্দরে আন্তর্জাতিক চোরাচালান চক্রের কাছ থেকে চারটি রয়েল বেঙ্গল টাইগারের শাবক উদ্ধার করা হয়। এই ব্যাঘ্রশাবকগুলোকে লালন-পালনের জন্য মিন্টুকে ঢাকার বোটানিক্যাল গার্ডেনে নিয়ে আসা হয়। পরবর্তী সময়ে ২০১০ সালে ডুলাহাজারায় একটি সিংহ বাচ্চা দেয়। এটির দেখভালের জন্যও মিন্টুকে সেখানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরে গাজীপুরে সাফারি পার্ক প্রতিষ্ঠা হলে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এখানে ১০টি রয়েল বেঙ্গল টাইগার আনা হয়। এবার মিন্টুর ডাক পড়ে শ্রীপুরের সাফারি পার্কে। সাফারি পার্কের তৎকালীন প্রকল্প কর্মকর্তা তপন কুমার দে মিন্টুকে এখানে সংযুক্ত করেন। সে সময় চারটি সাদা ও সাতটি বাদামি সিংহ আনা হয়। এসব প্রাণীর দেখাশোনার দায়িত্ব পড়ে মিন্টুর ওপর।