শেষ হল চট্রগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিন। যেমনটা প্রথমদিনের খেলায় বলেছিলাম আফগানিস্তান রয়েছে সুবিধাজনক অবস্থানে। এখনো তারাই রয়েছে সুবিধাজনক অবস্থানে। প্রথম দিনে বোলিংয়ে যেমন সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ দ্বিতীয় দিনে তেমনি বেহাল দশা ব্যাটিংয়ে। একমাত্র মুমিনুল হক বাদে ব্যার্থ সকল সিনিয়র ব্যাটসম্যান। তরুন ব্যাটসম্যানরাও কোনো সাপোর্ট দিতে পারেনি। তাইতো আফগানিস্তানের করা ৩৪২ রানের জবাব দিতে গিয়ে ২০৫ রানেই প্যাকেট হয়ে যায় পুরো বাংলাদেশ টিম। অর্ধ শতকের ঘর পার হতে পেরেছিলেন মাত্র একজন। সেই অর্ধশতককেও বেশি দূর নিয়ে যেতে পারেন নি তিনি। মোহাম্মদ নাবী এর বলে ৫২ রানেই আসগর আফগানের তালুবন্দি হয়ে ফিরে যেতে হয় মুমিনুল হক কে।
যেমনটা বলছিলাম, সিনিয়রদের বেহাল দশার দিনে পর্যাপ্ত সমর্থন দেখাতে পারেনি তরুন ক্রিকেটাররাও। তামিম ইকবালের অনুপস্থিতিতে তার জায়গায় খেলতে আসা শাদমান ইসলাম ০ রানেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যায়। যদিও তিনি ঘরোয়া লিগে অনেক ভাল পারফরম্যান্স করে থাকেন। একের অধিক দ্বি-শতক রানও রয়েছে তার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে। শাদমান ইসলাম প্যাভিলিয়নে ফিরে গেলে বেশিক্ষণ টিকে থাকেনি আরেক অপেনার সৌম্য সরকারও। ১৭ রানেই সাজঘরে ফিরেন তিনিও। তিন নাম্বার পজিশনে সচরাচর মুমিনুল ইসলাম ব্যাট করে থাকলেও সে স্থানে নামানো হয়েছিল লিটন কুমার দাসকে। তিনি পজিশনে পদোন্নতি পেলেও পদোন্নতির যথেষ্ট সম্মান দেখাতে ব্যার্থ তিনি। ভাল শুরুর আশা জাগিয়েও ভাল করতে ব্যার্থ তিনি। মাত্র ৩৩ রান করেই সাজঘরে ফিরে আসেন তিনিও। তখন সবাই আশা বাধছিলেন সাকিব আল হাসানকে ঘিরেই। বিশ্বকাপের অতিমানবীয় পারফর্মেন্সের পর তিনি ঘরের মাঠেও তেমন পারফর্মেন্সই করবেন বলে আশা ছিল সকল ভক্তদের। তবে তিনিও হতাশ করেন সকল ভক্তদের। রানের খাতায় ১১ রান যোগ করতেই বিদায় ঘন্টা বেজে যায় তারও। রশিদ খানের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে পরে প্যাভিলিয়নের দিকে ফিরে যেতে হয় তাকেও। তারপর মুমিনুল হক উইকেটের একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলতে থাকলেও তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে ব্যার্থ বাকিরা। মুশফিকুর রহিম আসলেন, একটি বল খেললেন এবং পরের বলেই প্যাভিলিয়নের দিকে হাটলেন। রানের খাতায় যোগ করতে পেরেছিলেন দুইটি বল যেখানে রানের সংখ্যা শূন্য। তারপর মাহমুদউল্লাহ ও সুবিধা করতে পারেননি। ৭ রান করে বিদায় নেন তিনিও। এভাবেই একে একে পরাস্ত হয় সকল সিনিয়র ব্যাটসম্যান। এরপর মোসাদ্দেক হোসেন ভাল করার চেষ্টা চালিয়ে গেলেও তাকে সমর্থন দেওয়ার মত ছিলনা কেউই। তিনি ৪৮ রানে অপরাজিত থাকলেও সমাপ্তি হয় বাংলাদেশ এর ইনিংসের। একেক করে পতন ঘটে দশটি উইকেটের। সবাই মিলে স্কোর কার্ডে যুক্ত করতে পেরেছিলেন মাত্র ২০৫ রান। প্রথম ইনিংসেই বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়ে ১৩৭ রানে।
চট্রগ্রামের পরিসংখ্যান বলে, প্রথম দিনে যে রান সংগ্রহ করা যায় দ্বিতীয় সংগ্রহ করা যায় এর থেকেও কম এবং তৃতীয় দিনে রান আসে দ্বিতীয় দিন থেকেও কম ও চতুর্থ দিনে তৃতীয় দিন থেকেও কম। একটি করে দিন যায়, পিচও একধাপ করে বোলিং ফ্রেন্ডলি হয়ে উঠে। তাই আজ আফগানিস্থানকে দ্রুত অল-আউট করার বিকল্প ছিলনা বাংলাদেশ দলের কাছে। আফগানিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে বাংলাদেশ দ্রুত উইকেট তুলে নিয়ে ভাল শুরুর ইঙ্গিত দিলেও হিসাব সব পাল্টে দেন আফগান অপেনার ইব্রাহিম জর্ডান। তার ৮৭ রানের ইনিংসটি বদলে দেয় সবকিছু। তৃতীয় দিন শেষে আফগানদের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২৩৭ রান যেখানে তাদের বর্তমান লিড ৩৭৪ রানেন। আগামী দিন যে আফগানরা তাদের খাতায় আরও বেশ কয়েকটি রান যোগ করবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ দলের জন্য টার্গেট ৪০০ রানের আশেপাশে থাকবে। বাংলাদেশ দল কি এত বড় টার্গেট চেজ করতে পারবে?
এমন প্রশ্ন তো থেকেই যায়। কেননা চট্রগ্রামের পরিসংখ্যান বলে চতুর্থ ইনিংসে গড়ে রান সংগ্রহ ৫০ রান এর মত।
Hello my friend how are you I just saw you, here you are, like 'my sport has been seeing it
I joined here 3 days ago and I loved this platform. I also visit your profile and I loved your blog too.