আজ বলবো একটা ট্রু লাভ স্টোরির কথা!
খাদকের সাথে খিচুড়ির লাভ স্টোরি!! বৃষ্টস্নাত আবহাওয়া, হালকা গুধোলি.... খিচুড়ি গলাধ:করনের জন্য পারফেক্ট সময়! আর সেটা যদি হয় # সোনার_বাংলা হোটেলের রাজিব ভাইয়ের সদ্য রান্না করা ধোয়া উঠা খিচুড়ি তাহলে তো কথাই নাই! এক কথায়, সুদে আসলে উসুল করে আসলুম ভায়া!!
দাম্পত্য জীবনে অসুখী? সমস্যা নাই! সোনার বাংলার খিচুড়ি খান! ২প্লেটই যথেষ্ট।
প্লেস-সোনার বাংলা হোটেল(মগবাড়ি চৌমুহনীর তিন রাস্তার উত্তর পশ্চিম কোনায় সগর্বে দাঁড়িয়ে আছে)
আইটেম- মুরগীর খিচুড়ি+আলুর চপ+বেগুনি+পেয়াজু
প্রাইস- খিচুড়ি(২৫টাকা প্লেট)
চপ(৩টাকা),বেগুনী(৩টাকা)পেয়াজু(১টাকা মেবি)
স্বাদ- খিচুড়ি (৯.৫/১০)দশই দিতাম।কিন্তু তেল বেশী থাকার কারনে .৫ কম।
এমনিতে আমি রেটিং এর দশটা নাম্বার খুব হিসেব করে খরচ করি। কিন্তু আজকে সেটা করতে আমার বিবেকে বাধছে। সত্যি অসাধারন ছিল!
গার্ল্ফ্রেন্ডের/বয়ফ্রেন্ডের সাথে ঝগড়া হয়েছে তো? গুল্লি মারেন গফ/বফের! গিয়ে রাজিব ভাইয়ের ২৫টাকা করে ৫০টাকা ২প্লেট মাইরা দিবেন! বুঝবেন,খাবারের উপরে আর কিছুই নাই! আর সেটা যদি হয় এইরকম বৃষ্টি বাদলের দিন তাহলে পুরাই চখাম!!!
খিচুড়ি টা মুখ পুরতে পুরতে আমার কবি হয়ে যেতে ইচ্ছা করছিল! মনে পড়ছিল একটা ফক সং, " আমার মন মজাইয়া রে,দিল মজাইয়া খিচুড়ি পেটের ভিত্রে যায়"
চপ+বেগুনী+পেয়াজুর স্বাদ- এভারেজ ছিল।
আর হ্যা মাত্র ২৫টাকায় এই কোয়ালিটির খাবার আর পাবেন না, চ্যালেঞ্জ ধরতে পারি আমি। তাই প্রাইসকে ১০০/১০ দেওয়া হল। আর পরিমান?
এক প্লেট খাওয়ার পর আপনার মনে হবে, নাহ আরেক প্লেট মেরে দেই! আরেক প্লেট খাওয়ার পর আপনি অনুভব করবেন,আপনি উঠতে পারছেননা! আলসেমী লাগছে! পেট ভরবেই!
এখানের চা টাও ভাল হয় শুনেছি,খাওয়া হয়নি পেটের জায়গার অভাবে।
আর পরিবেশ ফ্রেন্ড দের নিয়ে গেলে ঠিক আছে ছেলে হউক বা মেয়ে। কিন্তু বফ-গফের জন্য পারফেক্ট না।
বারবার রাজিব ভাইয়া, রাজিব ভাইয়া করতেসি কেন জানেন? বিহ্যাভের কারনে। আজকের আগে উনাকে চিনতাম না! সত্যিই যেমন খিচুড়ির রান্না,তেমনই উনার ব্যাবহার!
১০/১০!